পাকিস্তানের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মুফতি তাকি উসমানিকে আবারও ছুরিকাঘাতে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি নিরাপদ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর করাচিতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি পকেটে ছুরি নিয়ে এ হামলার চেষ্টা করেন বলে এক্সপ্রেস নিউজ জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, এদিন ফজরের নামাজের পর এক ব্যক্তি মুফতি তাকি উসমানির সঙ্গে একান্তে কথা বলার অনুরোধ জানান। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি করে তার পকেট থেকে ছুরি বের করেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
করাচির কোরঙ্গি জোনের এসএসপি শাহজাহান খান বলেন, মুফতি তাকি উসমানির সঙ্গে দেখা করতে আসা অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে ছুরিসহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে করাচিতে মুফতি তাকি উসমানির গাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় গাড়িতে তার সঙ্গে স্ত্রী ও দুই নাতি-নাতনিও ছিলেন।
সেই হামলায় তাকি উসমানির দুজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এ ছাড়া পাকিস্তান বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা আমির শেহাব ও মুফতি তাকি উসমানিও আহত হন।
মুফতি তাকি উসমানি বর্তমান বিশ্বে ইসলামি শিক্ষা, অর্থনীতি ও আইন বিষয়ে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। উপমহাদেশ থেকে শুরু করে আরব বিশ্ব এবং পশ্চিমা বিশ্বেও তিনি সমানভাবে সমাদৃত।
দারুল উলুম করাচির এ ভাইস প্রিন্সিপাল পাকিস্তানের প্রথম গ্র্যান্ড মুফতি শফির ছেলে এবং পাকিস্তানের বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি রফি উসমানির ছোট ভাই। তিনি পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের শরিয়া বেঞ্চের সাবেক বিচারপতিও ছিলেন।
সর্বজনমান্য এই আলেম দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি অর্থনীতি ও আইন বিষয়ে মুসলিমবিশ্বকে বাতিঘরের মতো আলো দিয়ে আসছেন। উপমহাদেশে দেওবন্দি ঘরানার আলেম ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে তিনি প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। এ কারণে তার মতো একজন বিদগ্ধ আলেমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সবা
0 comments:
Post a Comment