সত্য প্রকাশে নির্ভিক আমরা...

Thursday, September 19, 2019

তাণ্ডব চলছে হারিকেন হামবার্তোর, চোখ রাঙাচ্ছে জেরি

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড় জেরি আজ বৃহস্পতিবারের শেষ নাগাদ শক্তিশালী হারিকেনে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) এ তথ্য জানিয়েছে।

জেরি এ মুহূর্তে আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল ও ক্যারিবীয় সাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত লি‌ওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ থেকে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এনএইচসি জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিবেগসম্পন্ন ঝোড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে অবস্থান করছে জেরি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মায়ামিভিত্তিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন্দ্র এনএইচসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় জেরি লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি অথবা দ্বীপপুঞ্জের উত্তরাঞ্চলের উত্তরে এসে পৌঁছাবে। এর পর শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি পুয়ের্তো রিকোর উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।

এদিকে, আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন হামবার্তো স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বিকেলে ৩ মাত্রার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বারমুডা দ্বীপে আছড়ে পড়েছে। এতে দ্বীপটিতে তীব্র ঝোড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

মায়ামিভিত্তিক এনএইচসি জানিয়েছে, হামবার্তো ভয়াবহ হারিকেনরূপে স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

গ্রীষ্মকালীন যত ঝড়

‘হারিকেন’, ‘টাইফুন’ ও ‘সাইক্লোন’—সবই গ্রীষ্মকালীন ঝড়। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে এগুলো ভিন্ন নামে পরিচিত।

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘হারিকেন’। কিন্তু একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হলে তার নাম হয়ে যায় ‘টাইফুন’। আর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘সাইক্লোন’।

আটলান্টিক মহাসাগরে ১ জুন থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হলো হারিকেন মৌসুম। এই অঞ্চলে এ সময়কালের মধ্যেই ৯৫ শতাংশ উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।

বাতাসের গতিবেগ অনুযায়ী হারিকেনকে ১ থেকে ৫ নম্বর ক্যাটাগরিতে (মাত্রা) ফেলা হয়।
Share:

0 comments:

Post a Comment

Copyright © AqibMedia | Powered by Blogger Developed by SoftClever Limited